নতুনত্তের স্বাদ জোগাতে আজকের এই রেসিপি চিকেন উইথ ম্যাংগো বা ম্যাঙ্গো চিকেন।
কঠিন বা কম কথায় রেসিপি লিখে আমরা চলে যেতে চাই না! আমরা চেষ্টা করি, আমাদের রেসিপিটা একবার পড়েই যেন আপনাদের মনে ইচ্ছা জাগে রান্নাটা করে ফেলার এবং সেটা সহজ হলে আশা করি আপনারা তা করবেনই! আসলে আমি কাঁচা আম কিনে কিছুটা পাকিয়ে ফেলে রান্না করেছিলাম। তবে ব্যাপার না, রান্নার পরে আমি বুঝতে পারছি, কাছা/পাকাতে কি আসে যায়! হা হা হা… বোনলেস চিকেন হলে ভাল হয়, তবে এক্ষেত্রেও আমি কিছু হাড় নিয়েছিলাম! আমের কিউব করে নিন এবং চিকেন গুলো কিউব করে কেটে পরিস্কার করে এক চিমটি হলুদ এবং দুই চিমটি লবন দিয়ে মেখে রাখুন।পরিমান ও উপকরনঃ
– মুরগীর মাংস, বোনলেস হলে ভাল (৩৫০ গ্রাম, অনুমান)
– কাঁচা আম, ৫০ গ্রাম (কাঁচা পাকা আম হলেই ভাল, হা হা হা)
– পেঁয়াজ কুঁচি, হাফ কাপ
– আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
– রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে, হাফ চা চামচ
– চিনি, এক চা চামচ
– নারিকেলের দুধ, এক কাপ
– পানি, এক কাপ বা কম বেশি
– লবন (শুরুতে কম দিয়েই রান্না করা ভাল)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
– তেল ১/৪ কাপ
(চাইলে কয়েকটা এলাচি ও কয়েক টুকরা দারুচিনি দেয়া যেতে পারে, আমি আগামীতে রান্না করলে দিয়ে দেখবো, তবে না দেয়াতেও স্বাদ কম হয়েছে তা বলা যাবে না)প্রস্তুত প্রনালীঃ ছবি কথা বলে!
গোশত প্রিপারেশনঃ
১, তেল গরম করে মুরগীর মাংস ভেঁজে নিন।
২, বেশি নয় আবার কমো নয়।
৩, এবার গোশত তুলে রাখুন।
মুল রান্নাঃ
৪, উক্ত কড়াইতেই আরো সামান্য তেল দিন এবং সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচির সাথে কয়েকটা কাঁচা মরিচ
৫, পেঁয়াজ গুলো সামান্য হলদে হয়ে গেলে আদা ও রসুন বাটা দিন।
৬, আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে, ভাল করে মিশিয়ে ভাঁজুন। এই রকম ভাজাতে সাবধান থাকতে হবে, অনেক সময় চিটকা গায়ে পড়তে পারে।
৭, ভাঁজা হয়ে গেলে এবার মরিচ ও হলুদের গুড়া দিন। সামান্য পানিও দিতে পারেন।
৮, ঠিক কয়েক মিনিটেই এমনি সুন্দর রঙের ঝোল হয়ে যাবে।
৯, এবার আমের কিউব গুলো দিন (কাঁচা আম হলে সিদ্ধ হতে সময় নিবে)
১০, হাফ কাপ বা বেশি পানি দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১, এবার ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে আম সিদ্ধ বা নরম হতে দিন। কয়েকবার ঢাকনা উলটে খুন্তি দিয়ে আমগুলো নরম হয়ে গেলে গলিয়ে দিন।
১২, ঠিক এমনি অবস্থায় এসে যাবে। এবার চিনি দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১৩, এমনি সুন্দর ঝোল হয়ে যাবে।
১৪, এবার চিকেন দিয়ে দিন।
১৫, ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি।
১৬, এবার নারিকেল দুধ দিয়ে দিন।
১৭, ভাল করে নাড়িয়ে নিন এবং আগুন বাড়িয়ে দিন।
১৮, এমন অবস্থায় আসতে মিনিট ৬/৭ লাগতে পারে।
ছবি ১৯, ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি নিজেই নির্ধারন করুন। রুটি দিয়ে খেতে চাইলে ঝোল একটু বেশি রাখাই ভাল। এবং এই সময়ে ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন।
২০, ধনিয়া কুঁচি দিন।
২১, মিশিয়ে নিন এবং এই সময়ে আগুন বন্ধ করে দিন। ব্যস!
২২, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
২৩, আর অপেক্ষা কি! যারা রুটি/পরোটা খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য অসাধারণ আইটেম। আমার রান্না টেষ্টার বুলেট খেয়ে জানালো, ডিলিশিয়াস! আর আমার ব্যাটারী, তিনি খেয়ে চুপ হয়ে গেলেন! হা হা হা, রান্না ভাল হলে মুখে কোন কথা থাকে না!
একদিন ট্রাই করেই দেখুন, বাজারে কাঁচা আম এখনো ভরপুর আর মশলাপাতি, সবই রান্নাঘরেই পেয়ে যাবেন বলে আমি মনে করি। সবাইকে শুভেচ্ছা।