Wednesday, September 23, 2015

বোরহানি

নিজেই তৈরি করুন সুস্বাদু বোরহানি

বিয়ে বাড়ির এক মজাদার পানীয় বোরহানি। যুগ যুগ থেকে চলে আসা এই বোরহানির রেওয়াজ এখনও আছে। কিন্তু এখন বোরহানি শুধু বিয়ে বাড়িতেই নয়, যেকোনো উৎসবে, অনুষ্ঠানে বোরহানির চল আখন অনন্য। এছাড়াও এখন বাড়িতে একটু শাহি খাবারের আয়োজন করা হলেই, বোরহানি না হলেই নয়। কিন্তু বাজার থেকে কেনা বোরহানিতে সেই স্বাদ পাওয়া যাবে না, যা আপনার নিজের হাতের তৈরি বোরহানিতে পাবেন। তাই আজ চলুন দেখে নেই কিভাবে বোরহানি বানানো যায় !

উপকরণ :

মিষ্টি দই – ২ কাপ, টক দই – ২ কেজি, কাচা মরিচ কাটা – ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা – ২ চা চামচ, সরিষা বাটা – ২ চা চামচ, বিট লবন – ২ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন), চিনি – ২ টেবিল চামচ, লবন – ২ চা চামচ, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া – ২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী :

কাচা মরিচ, পুদিনা পাতা, একসাথে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে করে নিন। উপকরণগুলো একসাথে অল্প পানি দিয়ে গুলে দই-এর মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দইসহ সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।

বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

Sunday, August 30, 2015

আদার রসে সবজি-ইলিশ ভাজা


উপকরণ ১
ইলিশ মাছ ৪ টুকরা, আদার রস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ময়দা ২ টেবিল চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী
মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। আদার রস, লেবুর রস, কাঁচামরিচ বাটা, ১ টেবিল চামচ তেল একসঙ্গে মিলিয়ে মাছ দিয়ে মাখিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রাখতে হবে। ময়দা ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে মাছ দিয়ে মাখিয়ে ডুবোতেলে ভাজতে হবে।

উপকরণ ২
পটল ৬টি, বেগুন ১টি, আদার রস ৪ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, ময়দা ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালী
ওপরের নিয়মে বেগুন ও পটল ভেজে গরম গরত ভাত অথবা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

চিতল মাছের কোপ্তা কাবাব


যা লাগবে : চিতল মাছের পিঠের দিকের অংশ ৩০০ গ্রাম, ২ পিস পাউরুটি (অল্প তরল দুধে ভিজিয়ে রাখুন), বিট লবণ সামান্য, সাধারণ লবণ স্বাদ অনুযায়ী, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ মিহি করে কাটা আধা কাপ, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, সরিষা তেল পরিমাণমতো কাবাব মাখানোর জন্য, গরম মসলা  গুঁড়া ১ চা চামচ (কাবাবের জন্য), ভাজার জন্য তেল।

যেভাবে করবেন : প্রথমে মাছের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে পাটায় ছেঁচে কাঁটা বেছে নিন। তারপর ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ ও সরিষা তেল বাদে বাকি সব উপকরণসহ চিতল মাছ মিহি করে বেটে নিন। এরপর পরিমাণমতো তেলে মিহি করা পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। এখন একটি বাটিতে বাটা মাছের সঙ্গে বেরেস্তা পেঁয়াজ, সরিষার তেল এবং ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে গোল গোল করে গরম গরম ডুবন্ত তেলে ভেজে সাজিয়ে পরিবেশন করুন চিতল মাছের কোপ্তা কাবাব।চিতল মাছের কোপ্তা কাবাব
চিতল মাছের কোপ্তা কাবাব

Friday, August 28, 2015

চিকেন ইন চকোলেট সস


আমরা চকোলেট খেতে ভালবাসি। মুরগীর মাংস খেতে ভালবাসি। প্রচুর চকোলেটও খেতে পারি আবার মাংসও। কিন্তু কখনও একসঙ্গে চকোলেট আর মুরগীর মাংস রান্না করে দেখেছেন?
শুনে অবাক লাগছে তো? কিন্তু বিশ্বাস করুন অবাক হওয়ার কিছু নেই। চকোলেট দিয়ে মুরগীর মাংস রান্না হয় আর তা যথেষ্ট সুস্বাদুও হয়। আমার কথা বিশ্বাস না হলে বাড়িতে নিজেই বানিয়ে দেখুন চিকেন ইন চকোলেট সস।

ঝটপট দেখে নিন কীভাবে বাড়িতে বানাবেন চিকেন ইন চকোলেট সস।
পরিবেশন - ৪ জনের জন্য
প্রস্তুতির সময় - ১০ মিনিট
রান্নার সময় - ১ ঘন্টা
উপকরণ
মুরগীর মাংস - ১ টি (টুকরো করে নেওয়া)
লেবু - ১ টি
রসুন - ৫ টি
হোয়াইট ওয়াইন - ১০০ মিলিলিটার
অলিভ অয়েল - ১ টেবিল চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো - স্বাদমতো
জায়ফল - এক চুটকি
নুন - স্বাদমতো
মধু - ১ টেবিল চামচ (আপনার কম মিষ্টি পছন্দ হলে মধুর পরিমাণ কম করে দিতেও পারেন)
ডার্ক চকোলেট - ১৫০ গ্রাম
মাখন - ৫০ গ্রাম
ক্রিম - ১০০ মিলিলিটার
প্রণালী
নুন, স্লাইস করা রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, জায়ফল,হোয়াইট ওয়াইন এবং লেবুর রস দিয়ে মুরগীর মাংস ম্যারিনেট করে রেখে দিন।
১ ঘন্টা পর একটি বেকিং প্যান-এ বের করুন মাংসের টুকরোগুলি।
মাংসের উপরে অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিন।
প্রিহিট করা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৫০ মিনিটের জন্য বেক করুন।
বেক করা চিকেনের দুদিকে মধু লাগিয়ে নিন ভাল করে।
আবার ওভেনে দিয়ে ৩-৪ মিনিট বেক করে নিন যাতে সোনালি রং এসে যায় মাংসে।
সস বানানোর জন্য
একটি বাটিতে চকোলেটের টুকরো রাখুন। তাতে মাখন দিয়ে মাইক্রওভেনে ১ থেকে দেড় মিনিট গলিয়ে নিন।
মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করে চামচের সাহায্য়ে ভাল করে চকোলেট ও মাখন মিশিয়ে নিন।
এবার এতে হুইপড ক্রিম দিয়ে হাল্কা হাতে চকোলেটের সঙ্গে ফোল্ড করে নিন।
এবার এই সসটি মাংসের উপর ভাল করে ছড়িয়ে দিন। বাটার রাইসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

চিকেন পুডিং


আমাদের বাড়িতে অনেক সময়ই আগের দিনের মুরগীর মাংস থেকে যায়। তখন বোঝা যায় না তা দিয়ে কী করব। অনেকে অতিরিক্ত বলে ফেলেও দেন। কিন্তু এইধরণের লেফট ওভার মুরগীর মাংস দিয়েও সুস্বাদু খাবার বানানো যায়।
এই ধরণের লেফট ওভার মাংস দিয়ে বানানো অন্যতম জনপ্রিয় রেসেপি হচ্ছে চিকেন পুডিং। পুডিং সাধারণত আমরা জানি মিষ্টি হয়। কিন্তু চিকেন পুডিং নোনতা হয়। এই ধরণের পুডিং যেমন বানানো সোজা তেমনই ফ্যান্সিও বটে। অতিথি আপ্যায়নে এই চিকেন পুডিং দিয়ে আপনি প্রশংসা কুড়োতে পারবেন।

তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন চিকেন পুডিং।
পরিবেশন - ৪-৫ জনের জন্য
উপকরণ
মুরগীর মাংস - ২ কাপ (ছোট ছোট লম্বা টুকরো)
ময়দা - দেড় কাপ
নুন - আধ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো - আধ চা চামচ
অলিভ অয়েল - ১ টেবিল চামচ
চিকেন স্টক - ৪ কাপ
ডিম - ১ টি
ডিমের সাদা - ২টি
দুধ - ১ কাপ
মাখন - ৩ টেবিল চামচ
পার্সলে কুচি - ৩ টেবিল চামচ
থাইম - ১ চা চামচ
প্রণালী
১/৩ কাপ ময়দা, ১/৪ চা চামচ নুন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো একসঙ্গে মেশান।
এই মিশনে মাংসের টুকরোগুলি মিশিয়ে অলিভ অয়েলে ৪ মিনিট গনগনে আঁচে ভেজে নিন। যতক্ষণ না মাংসের রং বাদামী হচ্ছে।
এবার এই ভাজা মাংসের মধ্যে চিকেন স্টক দিয়ে দিন। স্টকটা ফোটার অপেক্ষা করুন। ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন পাত্রটি। ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
এবার একটি ১৩"x৯"x৩" মাখন দিয়ে গ্রিস করা বেকিং পাত্রে স্টকটি ছেঁকে আলাদা সরিয়ে এই মাংসগুলি ঢেলে দিন।
ওভেন ৪২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে প্রিহিট করুন।
একটি বড় পাত্রে ডিম ও ডিমের সাদাদুটি ভাল করে ফেটান। এতে দুধ ও ১ টেবিল চামচ মাখন দিন। আর বাকি নুনটা। ভাল করে ফেটান।
এর মধ্যে ১ কাপ ময়দা আস্তে আস্তে করে ঢালুন আর মেশাতে থাকুন।
এই মিশ্রণটা বেকিং পাত্রে মাংসর উপর দিয়ে ঢেলে দিন।
১৫ মিনিট রেখে দিন।
এবার ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ২০ মিনিট বেক করুন।
এবার অন্য একটি পাত্র আঁচে বসান। বাকি ২ টেবিল চামচ মাখন দিন। বাকি ১/৩ কাপ ময়দা দিয়ে ভাল করে মাঝারি আঁচে বসানো মাখনের সঙ্গে মেশান।
এতে সাড়ে ৩ কাপ রান্না করা চিকেন স্টক আস্তে আস্তে মেশাতে থাকুন। এবং ফুটতে দিন।
আঁচ কমিয়ে ৬ মিনিট রান্না করুন। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন।
পার্সলে আর থাইম মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
এবার চিকেনের পুডিংয়ের উপর দিয়ে এই সসটি ছড়িয়ে দিন।
পুডিংয়ের সঙ্গে আর একটি পাত্রে এই সসটি পরিবেশন করুন।

চিকেন স্টির ফ্রাই উইথ ব্রকোলি


ভাল খাবার খেতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু আজকের দিনে অসুখ বিসুখ, সুগার, প্রেসার সব এত বেড়ে গিয়েছে যে খাবার খাওয়ার সময় তার পুষ্টিগত যোগ্যতা বিচার না করলেই নয়।
আজ আমরা এমন একটা রেসিপি এনেছি, যা খেতেও দারুন, দেখতেও দারুণ, স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবতে হবে না। চিকেন স্টির ফ্রাই উইথ ব্রকোলি। এই খাবার স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু চাইলে হাল্কা টোস্ট করা গার্লিক ব্রেড দিয়েও খেতে পারেন।

আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন চিকেন স্টির ফ্রাই উইথ ব্রকোলি।
পরিবেশন - ৪ জনের জন্য
প্রস্তুতির সময় - ২০ মিনিট
রান্নার সময় - ২০ মিনিট
উপকরণ
ব্রকোলি - ২৫০ গ্রাম (মাঝারি আকারে
র ফুলে কাটা)
মুরগীর মাংস - ৫০০ গ্রাম
গোলমরিচ গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ
জায়ফল - এক চুটকি
মাখন - ১ টেবিল চামচ
টমেটো সস - ১ চা চামচ
চিজ - ৫০ টেবিল চামচ (কুড়নো)
লাল বেল পেপার - ১ টি (স্লাইস করা)
মাসরুম - ১০০ গ্রাম (আবশ্যিক নয়)
নুন - স্বাদমতো
প্রণালী
একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে ব্রকোলি দিয়ে ৫ মিনিট মুচমুচে করে ভেজে নিন। যাতে ভিতরটা কিন্তু নরম থাকে।
একটি পাত্রে স্বাদমতো নুন দিয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিন। মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট রান্না করুন।
এবার মাংস জল থেকে ছেঁকে ঠান্ডা করে ছুড়ির সাহায্যে ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
এবার একটি পাত্রে মাংস ও ব্রকোলি একসঙ্গে রেখে দিন।
এবার একটি পাত্রে মাখন নিন।
মাখন গলে গেলে আঁচ গনগনে করে তাতে মাংস ও ব্রকোলি দিয়ে দিন।
এতে গোলমরিচ, জায়ফল টমোটো সস দিয়ে ভাল করে করে মিশিয়ে নিন। চাইলে এতে মাসরুম চার টুকরো করে দিয়ে দিতে পারেন।
এবার গনগনে আঁচে টস করে করে ফ্রাই করতে থাকুন।
মাংসের রং লালচে সোনালি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
আপনি চাইলে এর সঙ্গে মেয়োনিজ বা হোয়াইট সস মিশিয়ে নিতে পারেন। আমরা এগুলি দিচ্ছি না।
পরিবেশনের সময় উপর থেকে কোড়ানো চিজ ছড়িয়ে দিন।

Thursday, August 27, 2015

হার্ব চিকেন রেসিপি


আজকালকার ব্যস্ত জীবনে ঝটপট রান্নার প্রাসঙ্গিকতা বেড়ে গিয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা মশলা পিষে, কষে রান্না করার সময় হাতে নেই বললেই চলে। তাই এমন রান্না যা ঝটপট হয়েও যাবে, সঙ্গে খেতেও সুস্বাদু হবে, এমন ধরণের রান্নার চল বেড়ে চলেছে। তাই এমন একটি রেসিপি আজ আমরা এনেছি, যা মাত্র ১৫ মিনিটে হয়েও যাবে। আর খেতে সুস্বাদুও বটে।
আজ আমরা বানাবো হার্ব চিকেন। যার জন্য উপকরণও লাগবে হাতে গোনা, আর বানিয়েও ফেলা যাবে মাত্র ১৫ মিনিটে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই সোজা ও সুস্বাদু খাবারটি বানিয়ে ফেলা যাবে।
হার্ব চিকেন রেসিপি
উপকরণ
চিকেন ব্রেস্ট (স্কিনলেস ও বোনলেস) - ৪টি
নুন- ১/৪ চামচ (আপনি আপনার স্বাদমতো নিতে পারেন)
একস্টা ভার্জিন অলিভ অয়েল - ২ টেবিল চামচ
লেবুর খোসা কুড়নো - ১ চা চামচ
লেবুর রস - ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা - ২ কোয়া
বেসিল+থাইম+রোজমেরি+ড্রাই পার্সলে - ২ চা চামচ
ব্রকোলি - ১ টি (মাঝারি টুকরো)
রেড ও ইয়েলো বেলপেপার - ১ বাটি (লম্বা পাতলা করে কাটা)
গাজর - ১ টা বড় (লম্বা পাতলা করে কাটা)
বাটন মাসরুম - ১ কাপ (চার টুকরো করে কাটা)

প্রণালী
একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ তেল এবং মাংস, সবজি ও মাসরুম বাদে অন্যান্য উপকরণগুলি সব দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি দিয়ে চিকেনের ব্রেস্টগুলি ভাল করে ম্যারিনেট করুন।
ম্যারিনেট করে ১৫-২০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
এবার একটি প্যান আঁচে বসান। প্যান গরম হলে তাতে চিকেনের ব্রেস্ট টুকরোগুলি রাখুন। মাংস বসানোর পর আঁচ মাঝারি রাখবেন। দুই দিক চার মিনিট করে রান্না করুন। মাংস রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
এবার ওই প্যানেই আবার বাকি তেলটুকু দিয়ে দিন। আপনি চাইলে এক্ষেত্রে তেলের বদলে মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।
মাখনে বাক সব সবজিগুলো দিয়ে স্টির ফ্রাই করে নিন গনগনে আঁচে।
স্বাদমতো নুন ও গোলমরিচ দিন।
চিকেনের সঙ্গে স্টির ফ্রাই ভেজিটেবল দিয়ে পরিবেশন করুন।

মালাই কুলফি


উপকরণ : মিল্কভিটা দুধ ২ লিটার, চিনি ৩০০ গ্রাম, এলাচ ৭/৮টি, দারুচিনি ৪/৫টি, তেজপাতা ২টি, মাওয়া ২০০ গ্রাম।

প্রস্তুত প্রণালি : দুধ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে জ্বাল করে যখন দুধের পরিমাণ অর্ধেক হবে, তখন চিনি ও মাওয়া গ্রেট করে মিশিয়ে দিতে হবে। হাল্কা আঁচে দুধ ভালোমতো জ্বাল দিতে হবে। দুধ যখন ঘন হয়ে যাবে তখন তা ছেঁকে নিতে হবে। এর পর দুধ কুলফির গ্গ্নাসে ঢালতে হবে। দুধ ঠাণ্ডা হলে ডিপফ্রিজে রাখতে হবে কুলফি জমার জন্য। কুলফি জমানোর জন্য অন্তত ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।

স্ট্রবেরি সরবে


উপকরণ : ১ কাপ চিনি, এক কাপ পানি, ১ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি।


প্রণালি : প্যানে চিনি ও পানি অল্প আঁচে জ্বাল করে নিতে হবে চিনি গলা পর্যন্ত। চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। চিনির শিরায় স্ট্রবেরি পিউরি মিলিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে তিন-চার ঘণ্টা। এরপর বের করে আবার খুব করে বিট করে ফ্রিজ করতে হবে। খুব ভালোভাবে জমে গেলে হুইপড ক্রিম ও স্ট্রবেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।

চকলেট আইসক্রিম


উপকরণ : গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, চকলেটের দুটি ছোট বার, ক্রিম ১ টিন, ওভালটিন ৩ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, জেলাটিন গোলানো ২-৩ টেবিল-চামচ, সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, চিনি, ওভালটিন ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণ প্যানে ঢেলে চকলেট দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর সিএমসি ও জেলাটিন গোলা মেলাতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ক্রিম মিলিয়ে বিট করতে হবে। মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে জমাতে হবে। দুই ঘণ্টা পর পর বের করে বিট করতে হবে চার-পাঁচবার। শেষের বার মেরাং বানিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে জমাতে হবে। ২টি ডিমের সাদা অংশ ও গুঁড়া চিনি ২ টেবিল-চামচ একসঙ্গে বিট করে মেরাং বানাতে হবে। মিলিয়ে চূড়ান্তভাবে জমাতে হবে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জমার পর পরিবেশন করুন।

** আধা কাপ পানিতে ১ চা-চামচ জেলাটিন গুলিয়ে নিতে হবে। এই গোলা থেকে ১ টেবিল-চামচ।
**আধা কাপ পানিতে ১ চা-চামচ সিএমসি পাউডার গুলিয়ে নিতে হবে। এই গোলা থেকে ১ টেবিল-চামচ।

কফি আইসক্রিম


উপকরণ : গুঁড়া দুধ ১ কাপ, পানি ১ কাপ, ক্রিম ১ টিন, কফি দেড় টেবিল চামচ, কাস্টার্ড পাউডার ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : গুঁড়া দুধ, পানি, ক্রিম, কফি ও কাস্টার্ড পাউডার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে প্যানে ঢেলে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। বড় বোলে ডিমের কুসুম ৫টি, চিনি আধা কাপ নিতে হবে। ডিমের কুসুম ও চিনি খুব করে বিট করে নিতে হবে। ক্রিমের মতো হয়ে এলে জ্বাল করে রাখা গরম মিশ্রণ অল্প অল্প দিয়ে বিট করতে হবে। সবটুকু মিশ্রণ মেলানো হয়ে গেলে খুব করে বিট করে ছাঁচে ঢেলে জমাতে হবে সারা রাত। পরে সাজিয়ে পরিবেশন। হুইপড ক্রিম ও চকলেট সিরাপ দিয়ে সাজাতে হবে। সঙ্গে চকলেট কুচি করেও দেওয়া যাবে।

চ্যাপা শুঁটকি কাঁঠাল


উপকরণ
সিদ্ধ কাঁঠাল বিচি ১ কাপ, চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, লাউ বা কুমড়া পাতা ১৫টি, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. কাঁঠাল বিচি মিহি করে বেটে নিন। শুঁটকি পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিতে হবে।
২. কড়াইয়ে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে লবণ, সব গুঁড়া ও বাটা মসলা সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে কষান।
৩. মসলা কষানো হলে শুঁটকি দিন। শুঁটকি মসলায় ভালোমতো কষিয়ে কাঁঠালের বিচি ও ফিস সস দিয়ে ভুনতে হবে।
৪. কড়াই থেকে আলগা হয়ে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
৫. এবার একটি পাতার ওপর ২ টেবিল চামচ শুঁটকি ভুনা রেখে পাতাটি সুন্দরভাবে মুড়িয়ে নিন যাতে খুলে না যায়। প্রয়োজনে টুথপিকও ব্যবহার করতে পারেন।
৬. এভাবে সব বড়া বানিয়ে ফ্রাইপ্যানে অল্প তেল দিয়ে এপিট-ওপিট কড়া করে ভেজে নিন।
৭. চ্যাপা শুঁটকি কাঁঠাল বিচির বড়া গরম ভাত, রুটি অথবা চিতই পিঠার সঙ্গে পরিবেশন করুন।


onek sundor

মসুর ডাল কাঁচকি শুঁটকি চচ্চড়ি


উপকরণ
মসুর ডাল ১ কাপ, কাঁচকি শুঁটকি ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, তেল এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ফিস সস ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৬টি, পানি ২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।i

যেভাবে তৈরি করবেন
১. শুঁটকি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ডাল বাদামি করে ভেজে ধুয়ে রাখুন।
২. কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ-রসুন কুচি ভেজে গুঁড়া ও বাটা মসলা দিন। লবণ দিন। সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন।
৩. মসলা ভালোমতো কষানো হলে কাঁচকি শুঁটকি দিন।
৪. শুঁটকি কষিয়ে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
৫. পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ডাল দিন। নেড়েচেড়ে দেড় কাপ পানি দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
৬. মাখামাখা হলে ফিস সস ও চেড়া কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। ডাল সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।

চ্যাপা রসুন মাখামাখি


উপকরণ
রসুন বাটা আধা কাপ, চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম, মরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, ফিস সস ১ চা চামচ, তেল এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, কাঁচামরিচ ৫টি।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন।
২. কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ কুচি ভাজা হলে রসুন, মরিচ, শুঁটকি ও লবণ দিয়ে ভুনতে থাকুন।
৩. ভুনা হয়ে এলে কাঁচামরিচ চিরে দিন। ফিশ সস দিন।
৪. কড়াই থেকে আলগা হয়ে তেল চকচকে হলে নামিয়ে নিন।
৫. পরিবেশন করুন ভাত, রুটি কিংবা চিতই পিঠার সঙ্গে।

লইট্টা শুঁটকির কেক


উপকরণ
সিদ্ধ কাটা কাঁচা লইট্টা শুঁটকি ১ কাপ (বেটে নিন), ময়দা ১ কাপ, ডিম ৪টি, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, ফিশ সস ১ চা চামচ, সয়া সস ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, চিনি ১ চা চামচ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. তেল, ডিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে নিন।
২. ডিমের সাদা অংশ বিট করে কোম করুন ।
৩. ডিমের কুসুম বিট করুন চিনি সহকারে, এই মিশ্রণের সঙ্গে তেল মিশিয়ে নিন।
৪. এবার ময়দা মেশান। ময়দা ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে নিন ভালো করে।
৫. একটি কেকের সাঁচে তেল মেখে প্রিহিটেড ওভেনে ১৬০হ্ন তাপে ৪০-৪৫ মিনিট বেক করুন।
৬. ঠাণ্ডা হলে স্লাইস করে চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

নুনাঝুরি


উপকরণ
নুনা শুঁটকি ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, রসুন মোটা করে কাটা আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ চেড়া ৪-৫টি, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. নুনা শুঁটকি পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. শুঁটকির মাঝের মোটা কাঁটা টেনে ফেলে দিন। এবার কিচেন সিজার দিয়ে শুঁটকির টুকরোগুলো আড়াআড়িভাবে যতটুকু সম্ভব চিকন করে ঝুরি করে নিন। যাতে ছোট কাঁটাগুলো ভালোভাবে কেটে যায়।
৩. এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ-রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে হলুদ-মরিচ গুঁড়া সামান্য পানি দিয়ে কষে নিন।
৪. শুঁটকি দিয়ে আবার ভুনতে থাকুন। প্রয়োজন হলে লবণ দিন। কাঁচামরিচ দিন।
৫. ভুনা ভুনা হয়ে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৬. গরম ভাত বা ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

চ্যাপা শুঁটকির বাগার ভর্তা


উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ১০টি, দেশি পেঁয়াজ ১০টি, দেশি রসুন ২টি, শুকনা মরিচ ১২টি, সয়াবিন তেল সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ।

প্রণালি: শুঁটকি ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে মাথা ও আঁশ ছাড়িয়ে পেট পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। শুঁটকির পানি নিংড়ে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পাটায় মসৃণ করে বাটতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বাটা উপকরণগুলো অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট নেড়েচেড়ে ভাজতে হবে। তেল ওপরে এলে ভর্তা চুলা থেকে নামিয়ে বাটিতে পরিচ্ছন্নভাবে পরিবেশন করুন।

কাঁঠালের বিচি শুঁটকি ভুনা


উপকরণ: লইট্যা শুঁটকির টুকরা ১ কাপ, কাঁঠালের বিচি ১ কাপ, সরিষার তেল ৩-৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, রসুন কোয়া ১০-১২টা, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টা, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: শুঁটকির টুকরা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে প্রথমে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ২-৩ বার ও পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ২-৩ বার ধুয়ে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভেজে নরম করে নিয়ে একে একে রসুন বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে অল্প পানি দিয়ে কষান। এবার শুঁটকি ও কাঁঠাল বিচি দিয়ে কষিয়ে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ওপরে রসুন কোয়া ও কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিয়েসেদ্ধ হতে দিন। শুঁটকি ও কাঁঠালবিচিসেদ্ধ হয়ে তেল উঠলে স্বাদ দেখে নিন। এবার নেড়েচেড়ে একটু ভুনা ভুনা করুন এবং ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে নামান। পরিবেশনের সময় অল্প কাঁচা সরিষার তেল ভুনা শুঁটকির ওপর ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

লইট্টা শুঁটকির আলুর চপ


উপকরণ
লইট্টা শুঁটকি ১০০ গ্রাম, আলু আধা কেজি, টমেটো ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো, ডিম ২টি ও বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. লইট্টা শুঁটকি ধুয়ে হালকা ভেজে নিন। এবার শুঁটকি সিদ্ধ করে কাঁটা ফেলে দিন।
২. কড়াইয়ে ৩ টেবিল চামচ তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ নরম হলে সব বাটা মসলা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ও লবণ এবং সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
৩. টমেটো কুচি দিয়ে আবার কষান, এরপর শুঁটকি দিন।
৪. শুঁটকি কষিয়ে ১ কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে ভুনা ভুনা হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
৫. আলু সিদ্ধ করে চটকে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া ও লেবুর রস মিলিয়ে মেখে নিন।
৬. আলুমাখা নিয়ে ভেতরে শুঁটকি ভুনার পুর ভরে চপ তৈরি করুন।
৭. ফেটানো ডিমে চুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে ২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

লেবু ইলিশ


উপকরণ : ইলিশ মাছ ৪ টুকরা, পেঁয়াজবাটা ২ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাগজিলেবু ১-২টি, কাঁচামরিচ ৬-৭টা, লেবু পাতা ৪-৫টা (ইচ্ছা), লবণ স্বাদমতো, তেল এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ।

প্রণালি : লেবুর রস আর লবণ মেখে মাছের টুকরাগুলো আধা ঘণ্টা রেখে দিন। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজবাটা ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। তাতে ম্যারিনেট করে রাখা ইলিশের টুকরাগুলো ছেড়ে দিন। ২-৪ মিনিট পর উল্টেপাল্টে দিয়ে প্রয়োজনমতো গরম পানি দিয়ে দিন। সঙ্গে ফালি করা কাঁচা মরিচও দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে স্বাদ চেখে নিন। প্রয়োজনবোধে আরও খানিকটা লেবুর রস আর হাতে কচলানো লেবুর পাতা দিয়ে ২-৪ মিনিট রাখতে পারেন। চুলা থেকে নামানোর একটু পরেই লেবু পাতা তুলে ফেলবেন। নইলে তরকারি তেতো হয়ে যেতে পারে। that's unbleached

ডাব ইলিশ


উপকরণ : ইলিশ ৪ টুকরা, ডাব ১টা (পানি ও নরম মালাইসহ), পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, পোস্তদানাবাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুনবাটা সিকি চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টা, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।

প্রণালি : ডাবের পানি ও শাঁস বের করে নিয়ে খোলাটাকে ২ ফালি করে কেটে রাখুন। ডাবের নরম শাঁস কুচি করে নিন। পেঁয়াজ আর পোস্তদানা কিছুটা ডাবের পানি দিয়ে পাতলা করে বেটে নিন। ফয়েল বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। বাকি ডাবের পানিসহ এই মিশ্রণ দিয়ে মাছের টুকরাগুলো মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। মাখানো মাছ প্যানে ঢেলে ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ১২-১৫ মিনিট রান্না করে নিন। মাঝে একবার খুব সাবধানে মাছ উল্টে দিন। চুলা থেকে নামিয়ে প্রতিটি ডাবের খোলায় ঝোল-মসলাসহ ২ টুকরা মাছ নিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে দিন। ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে প্রি-হিট করা ওভেনে ৭-৮ মিনিট বেক করে নিন। নামিয়ে ফয়েল খুলে ডাবের খোলাতেই সরাসরি পরিবেশন করুন। that's collll........

ইলিশ বিরিয়ানি


উপকরণ : তেলওয়ালা বড় ইলিশ ৪ টুকরা (ডিম থাকলে বাদ দিয়ে দিন), বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজবাটা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচের একটু কম, টকদই ১ টেবিল চামচ, নারকেলের ঘন দুধ ২ কাপ, কাঁচা মরিচ ১৪-১৫টা (আস্ত), চিনি আধা চা-চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, জাফরান রং ১ চিমটি, গরমমসলার গুঁড়া ১ চিমটি। লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি প্রতিটা ৩টা করে, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, ঘি সিকি কাপ।

প্রণালি : প্যানে ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। তাতে কিশমিশগুলোও ভেজে তুলে নিন। সেই ঘিয়ের সঙ্গে অর্ধেকটা তেল মিশিয়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার মরিচ গুঁড়া, রসুনবাটা দিয়ে কষিয়ে নিয়ে লবণ মাখানো ইলিশের টুকরাগুলো দিন। হালকা কষিয়ে চিনি দিয়ে ফেটানো দই দিয়ে ভালো করে মেশান। অল্প গরম পানি দিয়ে ঢেকে মিনিট ১৫ রান্না করে নামিয়ে নিন। নামানোর আগে গরমমসলার গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।
আরেকটি পাত্রে চাল অনুপাতে ফুটন্ত পানি, নারকেল দুধ আর লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি প্যানে বাকি তেলটা দিয়ে তাতে রান্না করা ইলিশের তেলটাও (শুধু তেল, ঝোল বা মসলা না) মিশিয়ে নিন। এবার তাতে গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে চাল দিয়ে দিন। আদাবাটা দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভেজে নারকেল দুধ, পানি আর লবণের মিশ্রণ মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। পানি আর চাল সমান হয়ে এলে ৪-৫টি বাদে বাকি কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে দিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে প্যানের নিচে তাওয়া দিয়ে পোলাও দমে বসিয়ে নিন।

পোলাও নামিয়ে ২ টেবিল চামচ পোলাওয়ের সঙ্গে জাফরান রং মিশিয়ে রাখুন। একটা হাঁড়িতে অল্প করে ঘিয়ের প্রলেপ দিয়ে তাতে প্রথমে পোলাওয়ের স্তর, তারপর হালকা করে সামান্য জাফরান রঙের পোলাও, তার ওপর বেরেস্তা আর কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। এর ওপরে আবার পোলাওয়ের স্তর, তারপর রান্না ইলিশের মসলার স্তর, আবারও সামান্য জাফরান রঙের পোলাও, বেরেস্তা আর কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। বাকি মসলা, ইলিশ, বেরেস্তা আর ৪-৫টা আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে দিন ২০-২৫ মিনিটের জন্য। পরিবেশনের আগে আর ঢাকনা না খোলাই ভালো। পরিবেশনের সময় মাছের টুকরাগুলো সাবধানে তুলে রেখে পোলাও হালকা হাতে মিশিয়ে পরিবেশন পাত্রে তুলে নিন। ওপরে ইলিশের টুকরাগুলো সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সামচা রুটি


উপকরণ : ময়দা ২ কাপ, তেল সিকি কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, গরু বা মুরগির কিমা ৫০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ (কিউব কাট) ২ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ।

প্রণালি : আদা, রসুন, লবণ, ১ টেবিল-চামচ তেল ও সামান্য পানি দিয়ে কিমা সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ দিন। একটু নেড়ে সেদ্ধ কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি ও কাবাব মসলা দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।

সমুচার রুটি তৈরির জন্য ময়দা, ১ চা-চামচ লবণ ও পানি দিয়ে খামির বানিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। খামির ৬টি ভাগে ভাগ করে পাতলা রুটি বেলে নিন। এবার একটি রুটি বিছিয়ে তার ওপর একটু তেল মাখিয়ে ময়দা দিয়ে ঢেকে দিন। ময়দা মাখানো রুটির ওপর আর একটি রুটি বিছিয়ে আগের মতো তেল ও ময়দা মাখিয়ে নিন। এভাবে একটির পর একটি রুটি দিয়ে হাতের তালু দিয়ে চেপে চেপে বড় করে নিন। ভালোভাবে সব রুটি আটকে গেলে বড় একটা ১৫ বাই ১৬ ইঞ্চি মাপের রুটি বেলে নিন। দুপাশই ভালোমতো বেলুন। এবার গরম তাওয়ায় হালকাভাবে রুটি সেঁকে একটা একটা করে রুটি আলাদা করে নিন। আবার ছয়টি রুটি পেয়ে যাবেন। এবার রুটিগুলো আট ইঞ্চি লম্বা ও তিন ইঞ্চি চওড়া করে যে কটি সম্ভব কেটে নিন। রুটির বাকি অংশ তেলে ভেজে গুঁড়া করে নিন এবং রান্না করা কিমার সঙ্গে পরিমাণমতো মিশিয়ে দিন।

আধা কাপ ময়দা পানি দিয়ে আঠালো করে রাখুন। লম্বা সমুচার রুটি কোনাকুনি ভাঁজ দিয়ে ময়দার আঠা লাগিয়ে তিন কোনা পকেট বানান। তাতে কিমার পুর ভরে ভাঁজ দিয়ে মুখ বন্ধ করে সমুচা বানিয়ে নিন। হালকা গরম তেলে বাদামি করে ভেজে উঠান।

হিমায়িত করতে চাইলে ৫টি বা ১০টি সমুচা নিয়ে পলিথিনের প্যাকে ভরে মুখ সিল করে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। শক্ত হলে নেড়েচেড়ে দিন। তখন নেড়েচেড়ে দিতে হবে। এতে সমুচাগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে যাবে না।

ভাল ভাবে পরিবেশন করুন

Monday, August 24, 2015

ইলিশ বিরিয়ানি


উপকরণ : তেলওয়ালা বড় ইলিশ ৪ টুকরা (ডিম থাকলে বাদ দিয়ে দিন), বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজবাটা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচের একটু কম, টকদই ১ টেবিল চামচ, নারকেলের ঘন দুধ ২ কাপ, কাঁচা মরিচ ১৪-১৫টা (আস্ত), চিনি আধা চা-চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, জাফরান রং ১ চিমটি, গরমমসলার গুঁড়া ১ চিমটি। লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি প্রতিটা ৩টা করে, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, ঘি সিকি কাপ।

প্রণালি : প্যানে ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। তাতে কিশমিশগুলোও ভেজে তুলে নিন। সেই ঘিয়ের সঙ্গে অর্ধেকটা তেল মিশিয়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার মরিচ গুঁড়া, রসুনবাটা দিয়ে কষিয়ে নিয়ে লবণ মাখানো ইলিশের টুকরাগুলো দিন। হালকা কষিয়ে চিনি দিয়ে ফেটানো দই দিয়ে ভালো করে মেশান। অল্প গরম পানি দিয়ে ঢেকে মিনিট ১৫ রান্না করে নামিয়ে নিন। নামানোর আগে গরমমসলার গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।
আরেকটি পাত্রে চাল অনুপাতে ফুটন্ত পানি, নারকেল দুধ আর লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি প্যানে বাকি তেলটা দিয়ে তাতে রান্না করা ইলিশের তেলটাও (শুধু তেল, ঝোল বা মসলা না) মিশিয়ে নিন। এবার তাতে গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে চাল দিয়ে দিন। আদাবাটা দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভেজে নারকেল দুধ, পানি আর লবণের মিশ্রণ মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। পানি আর চাল সমান হয়ে এলে ৪-৫টি বাদে বাকি কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে দিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে প্যানের নিচে তাওয়া দিয়ে পোলাও দমে বসিয়ে নিন।

পোলাও নামিয়ে ২ টেবিল চামচ পোলাওয়ের সঙ্গে জাফরান রং মিশিয়ে রাখুন। একটা হাঁড়িতে অল্প করে ঘিয়ের প্রলেপ দিয়ে তাতে প্রথমে পোলাওয়ের স্তর, তারপর হালকা করে সামান্য জাফরান রঙের পোলাও, তার ওপর বেরেস্তা আর কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। এর ওপরে আবার পোলাওয়ের স্তর, তারপর রান্না ইলিশের মসলার স্তর, আবারও সামান্য জাফরান রঙের পোলাও, বেরেস্তা আর কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। বাকি মসলা, ইলিশ, বেরেস্তা আর ৪-৫টা আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে দিন ২০-২৫ মিনিটের জন্য। পরিবেশনের আগে আর ঢাকনা না খোলাই ভালো। পরিবেশনের সময় মাছের টুকরাগুলো সাবধানে তুলে রেখে পোলাও হালকা হাতে মিশিয়ে পরিবেশন পাত্রে তুলে নিন। ওপরে ইলিশের টুকরাগুলো সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Saturday, August 22, 2015

মনোহর ফিশ কাবাব


উপকরণ :

লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাখানো কোরাল মাছের ফিলে ৮ পিস, কাবাব মসলা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ, তন্দুরি মসলা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা চামচ, আদা, রসুন বাটা ১ চা চামচ, বেরেস্তা ২ চা চামচ, টকদই ২ চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি :

প্রথমে একটি বাটিতে মাখানো মাছের ফিলে, কাবাব মসলা, গরম মসলা গুঁড়া, কাঁচামরিচ বাটা, তন্দুরি মসলা, পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন বাটা, বেরেস্তা, টকদই, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার মাখানো মাছের উপর ব্রাশ দিয়ে তেল ব্রাশ করে নিন। চুলায় একটি গ্রিলের তাওয়াতে তেল দিন, তেল গরম হলে মাখানো মাছের ফিলে দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ ভালো করে গ্রিল করে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মনোহর ফিশ কাবাব। সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Friday, August 21, 2015

চিকেন উইথ ম্যাংগো (গরমে আরাম)

























নতুনত্তের  স্বাদ জোগাতে  আজকের এই রেসিপি চিকেন উইথ ম্যাংগো বা ম্যাঙ্গো চিকেন।

কঠিন বা কম কথায় রেসিপি লিখে আমরা চলে যেতে চাই না! আমরা চেষ্টা করি, আমাদের রেসিপিটা একবার পড়েই যেন আপনাদের মনে ইচ্ছা জাগে রান্নাটা করে ফেলার এবং সেটা সহজ হলে আশা করি আপনারা তা করবেনই! আসলে আমি কাঁচা আম কিনে কিছুটা পাকিয়ে ফেলে রান্না করেছিলাম। তবে ব্যাপার না, রান্নার পরে আমি বুঝতে পারছি, কাছা/পাকাতে কি আসে যায়! হা হা হা… বোনলেস চিকেন হলে ভাল হয়, তবে এক্ষেত্রেও আমি কিছু হাড় নিয়েছিলাম! আমের কিউব করে নিন এবং চিকেন গুলো কিউব করে কেটে পরিস্কার করে এক চিমটি হলুদ এবং দুই চিমটি লবন দিয়ে মেখে রাখুন।পরিমান ও উপকরনঃ
– মুরগীর মাংস, বোনলেস হলে ভাল (৩৫০ গ্রাম, অনুমান)
– কাঁচা আম, ৫০ গ্রাম (কাঁচা পাকা আম হলেই ভাল, হা হা হা)
– পেঁয়াজ কুঁচি, হাফ কাপ
– আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
– রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে, হাফ চা চামচ
– চিনি, এক চা চামচ
– নারিকেলের দুধ, এক কাপ
– পানি, এক কাপ বা কম বেশি
– লবন (শুরুতে কম দিয়েই রান্না করা ভাল)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
– তেল ১/৪ কাপ

(চাইলে কয়েকটা এলাচি ও কয়েক টুকরা দারুচিনি দেয়া যেতে পারে, আমি আগামীতে রান্না করলে দিয়ে দেখবো, তবে না দেয়াতেও স্বাদ কম হয়েছে তা বলা যাবে না)প্রস্তুত প্রনালীঃ ছবি কথা বলে!
গোশত প্রিপারেশনঃ
 ১, তেল গরম করে মুরগীর মাংস ভেঁজে নিন।


২, বেশি নয় আবার কমো নয়।

 ৩, এবার গোশত তুলে রাখুন।

মুল রান্নাঃ

৪, উক্ত কড়াইতেই আরো সামান্য তেল দিন এবং সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচির সাথে কয়েকটা কাঁচা মরিচ
৫, পেঁয়াজ গুলো সামান্য হলদে হয়ে গেলে আদা ও রসুন বাটা দিন।

 ৬, আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে, ভাল করে মিশিয়ে ভাঁজুন। এই রকম ভাজাতে সাবধান থাকতে হবে, অনেক সময় চিটকা গায়ে পড়তে পারে।


৭, ভাঁজা হয়ে গেলে এবার মরিচ ও হলুদের গুড়া দিন। সামান্য পানিও দিতে পারেন।


৮, ঠিক কয়েক মিনিটেই এমনি সুন্দর রঙের ঝোল হয়ে যাবে।


৯, এবার আমের কিউব গুলো দিন (কাঁচা আম হলে সিদ্ধ হতে সময় নিবে)


১০, হাফ কাপ বা বেশি পানি দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।


১১, এবার ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে আম সিদ্ধ বা নরম হতে দিন। কয়েকবার ঢাকনা উলটে খুন্তি দিয়ে আমগুলো নরম হয়ে গেলে গলিয়ে দিন।


১২, ঠিক এমনি অবস্থায় এসে যাবে। এবার চিনি দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।


১৩, এমনি সুন্দর ঝোল হয়ে যাবে।


১৪, এবার চিকেন দিয়ে দিন।


১৫, ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি।


১৬, এবার নারিকেল দুধ দিয়ে দিন।


১৭, ভাল করে নাড়িয়ে নিন এবং আগুন বাড়িয়ে দিন।


১৮, এমন অবস্থায় আসতে মিনিট ৬/৭ লাগতে পারে।


ছবি ১৯, ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি নিজেই নির্ধারন করুন। রুটি দিয়ে খেতে চাইলে ঝোল একটু বেশি রাখাই ভাল। এবং এই সময়ে ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন।

 ২০, ধনিয়া কুঁচি দিন।


২১, মিশিয়ে নিন এবং এই সময়ে আগুন বন্ধ করে দিন। ব্যস!


২২, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

২৩, আর অপেক্ষা কি! যারা রুটি/পরোটা খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য অসাধারণ আইটেম। আমার রান্না টেষ্টার বুলেট খেয়ে জানালো, ডিলিশিয়াস! আর আমার ব্যাটারী, তিনি খেয়ে চুপ হয়ে গেলেন! হা হা হা, রান্না ভাল হলে মুখে কোন কথা থাকে না!

একদিন ট্রাই করেই দেখুন, বাজারে কাঁচা আম এখনো ভরপুর আর মশলাপাতি, সবই রান্নাঘরেই পেয়ে যাবেন বলে আমি মনে করি। সবাইকে শুভেচ্ছা।